শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়(১৮৭৬-১৯৩৮)
জন্মঃ ৩১
ভাদ্র ১২৮৩; ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে। পিতা: মতিলাল
চট্টোপাধ্যায়(১৮৫৬-১৯০২), মাতা: ভুবনমোহিনী দেবী (মৃত্যু ১৮৯৫); ডাকনাম: ন্যাড়া;
ছদ্মনাম: শ্রীপরশুরাম, অনিলা দেবী, অনুপমা।
শিক্ষাজীবনঃ
প্রাথমিক পর্যায়ে দেবানন্দপুরের হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুল এবং ভাগলপুরের দুর্গাপুরের এম. ই. স্কুল এ অধ্যয়ণ। অতঃপর তেজনারায়ণ জুবিলি (টি. এন.
জুবিলি) কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশের (১৮৯৪) পর একই কলেজে এফ. এ.
শ্রেণিতে ভর্তি। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষাজীবনের
পরিসমাপ্তি।
পেশাঃ
বিহারের গোড্ডায় রাজ বনালি এস্টেটে চাকুরি অর্জন (১৯০০)। চাকুরি ছেড়ে কিছুদিন
সাঁওতাল পরগনায় সেটেলমেন্টের কাজে যোগদান। ১৯০৫ রেলওয়ের অডিট বিভাগে চাকুরি। পরে
পিডব্লিউডি-তে যোগদান। আড়াই মাস পরে চাকরিচ্যুত হলে ন্যয়ঙ্গলাবিনে ধানের ব্যবসা।
১৯০৬ সালে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনে এসে পুনরায়
পিডব্লিউডি-তে চাকুরিগ্রহন। ১৯১৬ সালে
চাকুরি ছেড়ে কলকাতা প্রত্যাবর্তন।
বিবাহঃ শান্তিদেবীকে
বিয়ে করেন ১৯০৬ সালে; প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শান্তিদেবী ও একবছর বয়সী শিশুপুত্রের
মৃত্যু হয় ১৯০৮ সালে । অতঃপর ১৯১০ সালে তিনি বিয়ে করেন হিরণ্ময়ী অধিকারিকে।
সাহিত্যসাধনাঃ শরৎচন্দ্রের প্রথম প্রকাশিত গল্প 'মন্দির'; প্রথম উপন্যাস 'বড়দিদি' (১৯১৩)। অপরাজেয় কথাশিল্পী হিসাবে বাংলা সাহিত্যে তাঁর পরিচিতি।
স্বীকৃতিঃ সাহিত্যকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য কুন্তলীন পুরুস্কার (১৯০৩), জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ (১৯৩৪) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট. উপাধি অর্জন।
মৃতুঃ ২ মাঘ ১৩৪৪; ১২ জানুয়ারী ১৯৩৮ সাল। আয়ুষ্কাল ৬১ বছর ৪ মাস।
স্বীকৃতিঃ সাহিত্যকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য কুন্তলীন পুরুস্কার (১৯০৩), জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ (১৯৩৪) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট. উপাধি অর্জন।
মৃতুঃ ২ মাঘ ১৩৪৪; ১২ জানুয়ারী ১৯৩৮ সাল। আয়ুষ্কাল ৬১ বছর ৪ মাস।
0 Comments